Al-Quran, Islam (ইসলাম), Religion (ধর্ম)

No Obedience of Creation in Disobedience to the Creator (স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোন আনুগত্য নেই)

স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোন আনুগত্য নেই

There is no obedience of creation in disobedience to the Creator.

স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোন আনুগত্য নেই।

[বুখারী, মুসলিম, আহমাদ হা/১১৬৫; মিশকাত হা/৩৬৯৬।]

 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ اُولِی الۡاَمۡرِ مِنۡكُمۡ ۚ فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ فَرُدُّوۡهُ اِلَی اللّٰهِ وَ الرَّسُوۡلِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ ذٰلِكَ خَیۡرٌ وَّ اَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا

হে বিশ্বাসিগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস কর, তাহলে তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূল ও তোমাদের নেতৃবর্গ (ও উলামা)দের অনুগত হও।[১] আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। এটিই হল উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর।[২]

সূরাঃ আন-নিসা ৪:৫৯ / Sura An-Nisa 4: 59

[১] اُولُو الأمر (উলুল আম্র) বলতে কেউ বলেছেন, নেতা ও শাসকগণ। কেউ বলেছেন, উলামা ও ফুক্বাহাগণ।
অর্থের দিক দিয়ে উভয় শ্রেণীর মান্যবরদেরকেই বুঝানো যেতে পারে। উদ্দেশ্য এই যে, প্রকৃত আনুগত্য তো আল্লাহর প্রাপ্য। 

কারণ তিনি বলেছেন, أَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ
[“জেনে রাখো, সৃষ্টি করা এবং নির্দেশদান তাঁরই কাজ।” (সূরা আ’রাফঃ ৫৪) [اِنِ الْحُكْمُ إلاَّ للهِ]


“বিধান দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহরই।” (সূরা ইউসুফঃ ৪০)

কিন্তু রসূল (সাঃ) যেহেতু মহান আল্লাহর ইচ্ছার এক নিষ্ঠাবান প্রকাশক এবং তাঁর সন্তুষ্টির পথগুলো (মানুষের কাছে) তুলে ধরার ব্যাপারে তিনি তাঁর প্রতিনিধি, এ জন্যই মহান আল্লাহর স্বীয় আনুগত্যের সাথে সাথে রসূল (সাঃ)-এর আনুগত্য করাকেও ওয়াজেব করে দেন এবং
বলেন যে, রসূলের আনুগত্য করলে প্রকৃতপক্ষে তাঁরই আনুগত্য করা হয়।

[مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ] “যে ব্যক্তি রসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল।” (সূরা নিসাঃ ৮০) 

এ থেকে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, হাদীসও কুরআনের মত দ্বীনের দলীল।
এ ছাড়া আমীর ও শাসকের আনুগত্য করাও জরুরী। কারণ, হয় তাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশের বাস্তবায়ন করেন অথবা সকল মানুষের কল্যাণ সাধনের ব্যবস্থাপনা ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করেন। 

এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আমীর ও শাসকের আনুগত্য করা জরুরী হলেও তা একেবারে শর্তহীনভাবে নয়, বরং তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্যের শর্তসাপেক্ষ। আর এই কারণেই أَطِيْعُوا الله এর পরই أَطِيْعُوا الرَّسُوْل বলেছেন। কেননা, এই উভয় আনুগত্যই স্বতন্ত্র ও ওয়াজেব। 

পক্ষান্তরে وَأَطِيْعُوا أُولِي الأَمْر বলেননি, কারণ উলুল আম্র বা শাসকদের আনুগত্য স্বতন্ত্র নয়। 

আর হাদীসে বলা হয়েছে যে, ((لا طَاعَةَ لِمَخْلُوْقٍ فِي مَعْصِيَةِ الخَالِقِ)) “আল্লাহর অবাধ্যাচরণে কোন সৃষ্টির আনুগত্য নেই।”
(মিশকাত ৩৬৯৬, আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।) 


“আল্লাহর অবাধ্যতায় কোন আনুগত্য নেই।” (মুসলিম ১৮৪০নং) 

(إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي المَعْرُوْفِ) “আনুগত্য হবে কেবল ভালো কাজে।” (বুখারী ৭১৪৫) 

‘শাসকের কথা শুনতে হবে ও তাঁর আনুগত্য করতে হবে যতক্ষণ না (আল্লাহ ও তাঁর রসূলের) অবাধ্যতা হবে।’

আলেম-উলামার ব্যাপারটাও অনুরূপ। (যদি তাঁদেরকে শাসকদের মধ্যে শামিল করা হয়) অর্থাৎ, তাঁদের আনুগত্য এই জন্যই করতে হবে যে, তাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের যাবতীয় বিধি-বিধান বর্ণনা করেন এবং তাঁর দ্বীনের জন্য পথ-প্রদর্শকের কাজ করেন। বুঝা গেল যে, দ্বীনি বিষয়ে এবং দ্বীন সম্পর্কীয় কার্যকলাপে আলেম-উলামা শাসকদের মতই এমন কেন্দ্রীয়-মর্যাদাসম্পন্ন যে, জনসাধারণ তাঁদের প্রতি রুজু করে থাকে। তবে তাঁদের আনুগত্য ততক্ষণ পর্যন্ত করা যাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা জনসাধারণকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা শুনাবেন। কিন্তু তাদের বিপথগামী (বা কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীতগামী) হওয়ার কথা স্পষ্ট হলে তাঁদের আনুগত্য করা যাবে না। বরং এই অবস্থায় তাঁদের আনুগত্য করলে বড় অপরাধ ও গুনাহ হবে। (তাফসীরে আহসানুল বায়ান)

(১) ‘উলুল আমর’ আভিধানিক অর্থে সে সমস্ত লোককে বলা হয়, যাদের হাতে কোন বিষয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পিত থাকে।
সে কারণেই ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা, মুজাহিদ ও হাসান বসরী রাহিমাহুমাল্লাহ প্রমূখ মুফাসসিরগণ ওলামা ও ফোকাহা সম্প্রদায়কে ‘উলুল আমর’ সাব্যস্ত করেছেন।
তারাই হচ্ছেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নায়েব বা প্রতিনিধি ৷ তাদের হাতেই দ্বীনী ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পিত।

মুফাসসিরীনের অপর এক জামা’আত-যাদের মধ্যে আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রমূখ সাহাবায়ে কেরামও রয়েছেন-বলেছেন যে, ‘উলুল আমর’ এর অর্থ হচ্ছে সে সমস্ত লোক, যাদের হাতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত। ইমাম সুদ্দী এ মত পোষণ করেন। এছাড়া তাফসীরে ইবন কাসীরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ শব্দটির দ্বারা (ওলামা ও শাসক) উভয় শ্রেণীকেই বোঝায়। কারণ, নির্দেশ দানের বিষয়টি তাদের উভয়ের সাথেই সম্পর্কিত। আল্লামা আবু বকর জাসসাস এতদুভয় মত উদ্ধৃত করার পর বলেছেন, সঠিক ব্যাপার হলো এই যে, এতদুভয় অর্থই ঠিক।
কারণ, ‘উলুল আমর’ শব্দটি উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অবশ্য এতে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন যে, উলুল আমর বলতে ফকীহগণকে বোঝানো যেতে পারে না। তার কারণ, أُولُو الْأَمْر (উলুল আমর) শব্দটি তার শাব্দিক অর্থের দিক দিয়ে সে সমস্ত লোককে বোঝায়, যাদের হুকুম বা নির্দেশ চলতে পারে। বলাবাহুল্য, এ কাজটি ফকীহগণের নয়।
প্রকৃত বিষয় হলো এই যে, হুকুম চলার দুটি প্রেক্ষিত রয়েছে।
(এক) জবরদস্তিমূলক। এটা শুধুমাত্র শাসকগোষ্ঠী বা সরকার দ্বারাই সম্ভব হতে পারে।
(দুই) বিশ্বাস ও আস্থার দরুন হুকুম মান্য করা। আর সেটা ফকীহগণই অর্জন করতে পেরেছিলেন এবং যা সর্বযুগে মুসলিমদের অবস্থার দ্বারা প্রতিভাত হয়। দ্বীনী ব্যাপারে সাধারণ মুসলিমগণ নিজের ইচ্ছা ও মতামতের তুলনায় আলেম সম্প্রদায়ের নির্দেশকে অবশ্য পালনীয় বলে সাব্যস্ত করে থাকে। তাছাড়া শরীআতের দৃষ্টিতেও সাধারণ মানুষের জন্য আলেমদের হুকুম মান্য করা ওয়াজিবও বটে। সুতরাং তাদের ক্ষেত্রেও ‘উলুল আমর’-এর প্রয়োগ যথার্থ হবে। (তাফসীরে জাকারিয়া)

[২] আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার অর্থ, কুরআনের দিকে রুজু করা এবং এখন রসূলের দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার অর্থ হল, (সহীহ) হাদীসের দিকে রুজু করা। বিবাদী সমস্যার সমাধানের জন্য এটা হল অতি উত্তম এক মৌলিক নীতি। আর এই মৌলিক নীতি থেকে এ কথাও পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তৃতীয় কোন ব্যক্তিত্বের আনুগত্য ওয়াজেব নয়। যেমন, ব্যক্তি অনুকরণ অথবা নির্দিষ্ট করে কারো অন্ধানুকরণ করার সমর্থকরা তৃতীয় আর এক আনুগত্যকে জরুরী সাব্যস্ত করেছে। আর কুরআনের আয়াতের প্রকাশ্য বিরোধী তৃতীয় এই আনুগত্য মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ এক উম্মতে পরিণত করার পরিবর্তে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন উম্মতে পরিণত করেছে এবং তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াকে প্রায় অসম্ভব করে দিয়েছে।

(তাফসীরে আহসানুল বায়ান)

শরীয়তের অকাট্য বিধান- ‘আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয়ে কারো আনুগত্য করা হারাম।’
(বুখারি, হাদিস : ৭১৪৫)

আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দলনেতাদের নির্দেশ মান্য করা ও না করার সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
তা হলো মুমিন শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব দলনেতার আনুগত্য করবে। আল্লাহর অবাধ্য হয়ে কোনো মানুষের আনুগত্য করবে না।

ইরশাদ হয়েছে, আর আপনার প্রভু নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা কেবল তারই ইবাদত করবে এবং মা বাবার সাথে সদাচরণ করবে।( সূরা বনী ইসরাঈল:২৩)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার সাব্যস্ত করো না। মা বাবার সাথে সদাচরণ করো। (সূরা নিসা:৩৬)

আর বলাবাহুল্য যে, আনুগত্য সদাচরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদি তাদের আনুগত্যই না করা হয় তাহলে সদাচরণ পূর্ণতা পাবে না।


একই ভাবে উলামায়ে কেরাম, শিক্ষক ও বড়দের কথা মানার কথাও এসেছে শরীয়তে।
ইরশাদ হয়েছে, তোমরা না জানলে আলেমদের কাছে জিজ্ঞেস করো। (সূরা আম্বিয়া:৭, সূরা নাহল:৪৩)
এ আয়াতে আলেমদের কথা মানাকে আবশ্যক করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের কাছে জিজ্ঞেস করার নির্দেশ দেওয়ায় কোনো যৌক্তিকতা নেই।


আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বড়দের হক্ব সম্পর্কে জানে না এবং ছোটদের প্রতি স্নেহশীল হয় না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (মুসনাদে আহমদ ১২/২৯) আর বড়দের হক্বের মধ্যে অন্যতম হল, তাদের আনুগত্য করা।
শিক্ষক ও উস্তাযের কথা মানা, আনুগত্য করা তো ইলম পাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। ইলম অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ আদবও এটা।

 

তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে গিয়ে এদের কারো আনুগত্য করা যাবে না। সেটা হারাম হবে। ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোনো আনুগত্য হতে পারে না। (জামিউস সাগীর, হাদীস নং ৯৮৮৪)

আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে আল্লাহর অনুগত নয় তার জন্য কোনো আনুগত্য নেই। (জামিউস সাগীর, হাদীস নং ৯৮৮২)
আরো অসংখ্য সাহাবী থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ) খেলাফত লাভের পর প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‹আমি যদি ভালো কাজ করি তাহলে আপনারা আমার সহযোগিতা করবেন। আর যদি মন্দ পথে ধাবিত হই তাহলে আমাকে সোজা পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। আরো বলেছিলেন, যদি আমি আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর অবাধ্য হয়ে যাই তাহলে আমার আনুগত্য করা আপনাদের জন্য জায়েজ হবে না।
(আখতার ফারুক অনূদিত ‹খোলাফায়ে রাশেদীন› পৃষ্ঠা নং ৫০)

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=552 
https://quran.com/4:59/tafsirs/bn-tafsir-ahsanul-bayaan

————–

ইসলাম সভা-সমাবেশের অধিকার, মান-ইজ্জতের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ধর্ম।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, ইসলাম নাগরিকদের অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ করার পূর্ণ অধিকার দিয়েছে।

সূরা নিসা (১৪৮ আয়াত) বলছে-
অশ্লীলভাষী হওয়া আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে যার ওপর জুলুম করা হয়েছে তার কথা স্বতন্ত্র।
অর্থাৎ অশ্লীলতা ও মন্দ কথার প্রচারণা খুবই গর্হিত কাজ। কিন্তু অন্যায়-অবিচার যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, ধৈর্য-সহিষ্ণুতার বাঁধ ভেঙে যায়, সম্পূর্ণ অপারগ অবস্থায় জবান থেকে মন্দ ও অশ্লীল কথা বেরিয়ে পড়ে, তখন উচ্চতর নৈতিক শিক্ষা সত্বেও আল্লাহর কাছে এই সর্বশেষ অবস্থা ক্ষমাযোগ্য

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
মানুষ যদি অত্যাচারীর অত্যাচার ও জুলুম দেখেও তাকে প্রতিহত না করে তা হলে আল্লাহর ব্যাপক শাস্তি তাদের ওপর নাজিল হবে।
(ইসলামে মানবাধিকার/মুহাম্মদ সালাহুদ্দীন/অনুবাদ মুহাম্মদ আবু তাওয়াম/মুহাম্মদ আবু নুসরাত হেলালী)

ইসলাম শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকারই দেয়নি, বরং যদি এই প্রতিবাদ সত্য প্রমাণিত হয় তা হলে সে ক্ষেত্রে জালেমের আনুগত্য প্রত্যাখ্যান করার অধিকারও ইসলামে রয়েছে। এমনকি তাকে অপসারণেরও। বিশ্বের ইতিহাসে এবং রাষ্ট্রতন্ত্রের সর্বধারায়ও এটি স্বীকৃত।

আল্লাহ বলে দিয়েছেন, ‘তোমরা সীমা লঙ্ঘনকারীদের আনুগত্য করবে না
(সূরা শুআরা : ১৫১ আয়াত)।

নবীজীর আহ্বানও এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট
স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির আনুগত্য নেই।’ অর্থাৎ যে শাসক আল্লাহর অবাধ্য হবে, তার আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.